Hello dear students, You are searching for Madhyamik History Suggestions on social media like Facebook, Youtube, or any website. Then stop searching,
In this article, I share the Madhyamik History suggestion that will help you to make a clear idea about your confusion about Madhyamik History suggestion 2023 that occurred in your mind. So stay here and read the article carefully.
Madhyamik History Suggestion 2023
Madhyamik History Suggestion 2023. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন চ্যাপ্টার ১ : Madhyamik History Chapter 1 Suggestion 2023. মাধ্যমিক ইতিহাস প্রথম অধ্যায়ের সাজেশন ২০২৩ প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
এই Madhyamik History Suggestion 2023 – মাধ্যমিক ইতিহাস প্রথম অধ্যায় সাজেশন ২০২৩ MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আসন্ন West Bengal Madhyamik History Exam 2023 – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস 2023 সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
আপনারা যারা মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য Madhyamik History Suggestion 2023 | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৩ খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া Madhyamik History Suggestion 2023 – মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৩ প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারেন। Madhyamik History 2023 পরীক্ষা তে এই কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করঃ
1➤ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম পত্রিকার নাম-
ⓑ সমাচার দর্পন
ⓒ বঙ্গদর্শন
ⓓ সোমপ্রকাশ
2➤ প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র হল-
ⓑ রাজা হরিশ্চন্দ্র
ⓒ চন্ডীদাস
ⓓ দেনাপাওনা
3➤ প্রথম মহিলা ডাক্তার ছিলেন-
ⓑ কাদম্বিনী গাঙ্গুলী
ⓒ স্বর্ণকুমারী দেবী
ⓓ অবলা বসু
4➤ 'জীবনের ঝরাপাতা' লিখেছিলেন-
ⓑ শরৎকুমারী
ⓒ স্বর্ণকুমারী
ⓓ জ্ঞানদানন্দিনী
5➤ সরকারি মহাফেজখানা বা লেখ্যাগারে থাকে-
ⓑ সমস্তরকম সরকারি নথিপত্র
ⓒ গোয়েন্দা ও পুলিশের গুপ্ত প্রতিবেদন
ⓓ প্রশাসকদের বিবৃতি
6➤ এঁদের মধ্যে মার্কসবাদী ইতিহাস চর্চাকারী ছিলেন-
ⓑ রমেশচন্দ্র মজুমদার
ⓒ রজনীপাম দত্ত
ⓓ তারাচাঁদ
7➤ ভারতে বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃত হলেন-
ⓑ এ.পি.জে আব্দুল কালাম
ⓒ জগদীশচন্দ্র বসু
ⓓ রাধাগোবিন্দ কর
8➤ আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার প্রধান উপাদান হল-
ⓑ শিলালিপি
ⓒ পর্যটকদের বিবরনী
ⓓ সরকারি নথিপত্র
9➤ কলহনের লেখা ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক গ্রন্থ হল-
ⓑ রাজতরঙ্গিনী
ⓒ মনসামঙ্গল
ⓓ রমচরিত
10➤ ফ্রান্সের 'অ্যানাল স্কুল' গঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন-
ⓑ ফার্নান্দ ব্রদেল
ⓒ ডালহৌসি
ⓓ মেকলে
11➤ খেলাধুলার ইতিহাসচর্চা শুরু হয়েছে-
ⓑ ১৯৭১ খ্রীঃ
ⓒ ১৯৭০ খ্রীঃ
ⓓ ১৯৭২ খ্রীঃ
12➤ সরকার অরন্য সংরক্ষণের অজুহাতে তৈরি করে-
ⓑ সামন্ত আইন
ⓒ জমিদার আইন
ⓓ মহজন আইন
13➤ ভারতের নিম্নবর্গের ইতিহাস্ম প্রথম রচনা করেন-
ⓑ প্রকাশ মজুমদার
ⓒ রোমিলা থাপার
ⓓ ইরফান হাবিব
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রথম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর | Click Here |
মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর পর্ব ১ | Click Here |
মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর পর্ব ২ | Click Here |
মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর পর্ব ৩ | Click Here |
মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর | Click Here |
মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর | Click Here |
মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর | Click Here |
মাধ্যমিক ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর | Click Here |
২। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশোত্তরঃ
(ক) প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদপত্রের নাম কী?
উঃ সমাচার দর্পন।
(খ) বন্দেমাতরম সংগীতটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উঃ বঙ্গদর্শন পত্রিকায়।
(গ) সতীদাহ বিরোধী বিল কবে, কার চেষ্টায় পাশ হয়?
উঃ ১৮২৯ খ্রিঃ রাজা রামমোহন রায়ের চেষ্ঠায়।
(ঘ) 'একাত্তরের ডায়রি'-র রচয়িতা কে?
উঃ সুফিয়া কামাল।
(ঙ) বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্রের নাম কী?
উঃ বেঙ্গল গেজেট।
(চ) কবে থেকে বাংলা ভাষায় সংবাদপত্রের প্রচলন হয়?
উঃ ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে।
(ছ) 'বন্দেমাতরম' সংগীতটি কোন উপন্যাসের অংশ?
উঃ আনন্দমঠ।
(জ) ভারতের প্রথম শব্যবচ্ছেদকারী চিকিৎসকের নাম কী?
উঃ মধুসূদন গুপ্ত।
(ঞ) ভারতে কবে থেকে বন সংরক্ষণ আইন চালু হয়?
উঃ ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে।
(ট) লালন ফকির কী গান গাইতেন?
উঃ বাউল গান।
(ঠ) গিরিশচন্দ্র ঘোষ কী হিসাবে বিখ্যাত?
উঃ একজন নাট্যকর হিসেবে।
(ড) ভারতের প্রথম ফুটবল ক্লাবের নাম কী?
উঃ কলকাতা এফ.সি।
(ণ) ভারতীয় ফুটবলের জনক কাকে বলা হয়?
উঃ নগেন্দ্রনাথ সর্বাধিকারীকে।
(ত) 'পথের পাঁচালী' চলচ্চিত্রের নির্মাতা কে ছিলেন?
উঃ সত্যজিৎ রায়।
(থ) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ ১৮৩৫ খ্রিঃ।
(দ) 'রসগোল্লাঃ বাংলার জগৎমাতানো আবিষ্কার' গ্রন্থটি কার লেখ?
উঃ হরিপদ ভৌমিকের।
৩। সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করঃ
(ক) 'সুবর্ণরেখা' চলচ্চিত্রটির পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। [ সত্য ]
(খ) 'হিন্দু প্যাট্রিয়ট' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। [ সত্য ]
(গ) 'নবান্ন' নাটকের বিষয়বস্তু ছিল বাংলার মন্বন্তর। [ সত্য ]
(ঘ) নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা অতিসাম্প্রতিক। [ সত্য ]
(ঙ) ব্রাহ্মিকা শাড়ি পরার পদ্ধতি প্রচলন করেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের মহিলারা। [ সত্য ]
৪। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
(ক) বাংলার নাট্যচর্চার ইতিহাস বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখ?
উঃ ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বঙ্গঈয় নাট্যশালার ইতিহাস', সত্যজীবন মুখোপাধ্যায়ের 'দৃশ্যকাব্য পরিচয়' আশুতোষ ভট্টাচার্যের 'বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাস', বালদুন ধিংড়ার 'এ ন্যাশনাল থিয়েটার ফর ইন্ডিয়া'।
(খ) চলচ্চিত্রের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখ?
উঃ ঋত্বিককুমার ঘটকের 'চলচ্চিত্র, মানুষ এবং আরও কিছু', সত্যজিৎ রায়ের 'একেই বলে শুটিং' তপন সিংহের 'চলচ্চিত্র আজীবন', ফারনাহা মিলির 'সিনেমা এলো কেমন করে', ফ্রান্সেসকো ক্যাসেটির 'থিওরিস অব সিনেমা'।
(গ) খেলার ইতিহাস নিয়ে মৌলিক গবেষণা করেছেন এমন দুই ভারতীয়ের নাম লেখ?
উঃ বোরিয়া মজুমদার ও আশিস নন্দী।
(ঘ) নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চার সুচনা কখন, কার দ্বারা হয়?
উঃ ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক রণজিৎ গুহ রচিত 'সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ' নামক গ্রন্থে এই ইতিহাস চর্চা শুরু হয়।
(ঙ) কবে, কাকে হারিয়ে মোহনবাগান ক্লাব IFA শিল্ড লাভ করে?
উঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশদের ইয়র্ক ক্লাবকে হারিয়ে।
(চ) খাদ্যাভাসের ইতিহাসচর্চার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ?
উঃ (ক) খাদ্যাভাসের ইতিহাসচর্চা জাতীয়তাবোধের উদ্ভবে সহায়ক। (খ) এর দ্বারা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ একে অপরের খাদ্যাভাস সম্পর্কে জানে।
(ছ) স্থানীয় ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য লেখ?
উঃ স্থানীয় ইতিহাসচর্চায় ছোটো ছোটো ঘটনার বিবরণ জাতীয় ইতিহাসচর্চার ভিত্তি হিসাবে কাজ করে।
(জ) ভারতীয় চলচ্চিত্র-ইতিহাসে প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কী?
উঃ দাদাসাহেব ফালকে পরিচালিত 'রাজা হরিশচন্দ্র' (১৯১৩ খ্রিঃ)।
৫। রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
১। উনিশ শতকে বাংলার নারীর ইতিহাসে কলকাতার ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের অবদান লেখ।অথবা, ভারতের আধুনিকা নারীর ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উঃ সূচনাঃ আধুনিক কালে ইতিহাসের বিভিন্ন শাখাপ্রশাখার আলোচনা ও চর্চা লক্ষ করা যায়, যার মধ্যে অন্যতম হলো নারীশ্রেণির ইতিহাসচর্চা। আর এই নারি ইতিহাওচর্চার একটি পর্ব হলো বাংলার ঠাকুরবাড়ির নারীশ্রেণির ইতিহাসচর্চার যাকে বাংলা তথা ভারতের নারীর ইতিহাসের অন্যতম দিক বলা যেতে পারে।
উঃ সূচনাঃ বাংলার নবজাগরণে সময়কালের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা ছিল
সোমপ্রকাশ সাপ্তাহিক পত্রিকা। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে
সোমপ্রকাশ এর আত্মপ্রকাশ ঘটে এখান থেকে সমকালীন বাংলার রাজনৈতিক ও সমাজ জীবন
সম্পর্কে বহু তথ্য পাওয়া যায়।
➤ সু প্রচারকঃ সমকালীন বাংলার শিক্ষিত সমাজের মুখ ছিল সোমপ্রকাশ পত্রিকা।
তৎকালীন অন্যান্য পত্রিকায় রুচির অভাব ছিল। ঠিক তার বিপরীত ছিল সোমপ্রকাশ। সু
প্রচারক সোমপ্রকাশ পত্রিকা ছিল সুস্থ রুচিসম্পন্ন পত্রিকা যার ভাষাও ছিল সুন্দর
ও শালীনতাসম্পন্ন।
সোমপ্রকাশ এর গুরুত্ব ঃ সোমপ্রকাশ পত্রিকা থেকে সমকালীন
বাংলার যে সকল চিত্র ফুটে ওঠেছে তা নিম্নে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল-
➤ রাজনৈতিক ও সামাজিকঃ সোমপ্রকাশ পত্রিকাই প্রথম বাংলা রাজনৈতিক আলোচনা শুরু
করে। বিধবা বিবাহের প্রচলন ও স্ত্রী শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে বাঙালি
বুদ্ধিজীবিদের মনোভাব ও উদ্যোগের কথা প্রকাশিত হতো এই পত্রিকায়।
➤ কৃষকের কাহিনীঃ সোমপ্রকাশ পত্রিকাটিতে সমকালীন বাংলা কৃষকদের
দুরাবস্থার কথা তুলে ধরা হয়। এছাড়া নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কাহিনী ও
নিয়মিত প্রকাশ পেতে পত্রিকায়।
➤ কোম্পানি বিরোধীঃ আন্দোলন ব্রিটিশ সরকার বিরোধী শক্তিশালী জনমত গড়ে তোলার
ক্ষেত্রে সোমপ্রকাশ পত্রিকা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। এই পত্রিকা থেকে দেশীয়
ভাষায় সংবাদপত্র আইন বিরোধী প্রকাশিত ইলবার্ট বিল সহ ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে
ভারতীয়দের বিভিন্ন আন্দোলন সম্পর্কে জানা যায়।
➤ মূল্যায়নঃ আসলে সোমপ্রকাশ পত্রিকা ছিল সমকালীন ভারতে এক নির্ভীক জনদরদি
পত্রিকা ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে এই পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ হয়ে গেলেও ১৮৮০
খ্রিস্টাব্দে পুনরায় চালু হয় অবশ্য পূর্বের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে কমে
যাওয়ায় পত্রিকার প্রকাশ চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।
উঃ সূচনাঃ দেহ ও মনের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য প্রয়োজন খেলাধুলা। নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল খেলাধুলার ইতিহাস চর্চা। শরীর চর্চার পাশাপাশি খেলাধুলা জাতীয়তাবোধকে জাগরিত করতে ও জাত পাতের বিরুদ্ধে মানুষকে প্রতিবাদে করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
♣ খেলাধুলার ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব
➤খেলার উৎপত্তিঃ আধুনিক ইতিহাস চর্চায় খেলাধুলার ইতিহাস আলোচনার মধ্য দিয়ে জানা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় খেলার উৎপত্তি স্থল কোথায় এবং বিভিন্ন খেলার ধারাবাহিক বিকাশ ও বিবর্তন এর কাহিনী।
➤খেলার ইতিহাস চর্চার বিষয়ঃ খেলার ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে জানা যায় জাতীয়তাবাদী ভাবনা সম্পর্কে। আবার বিভিন্ন খেলায় নারীর অংশগ্রহণ স্পষ্ট করে নারী স্বাধীনতার বিষয়টি। প্রসঙ্গত হাজার ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগান ক্লাব ব্রিটিশ দের হারিয়ে IFA চিল্ড জয়ের মাধ্যমে জাতীয়তা বাদকে জাগিয়ে তুলেছিল। ➤সাংস্কৃতিক তথ্যঃ খেলাধুলার ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়। বিভিন্ন দেশের জাতীয় খেলা তাদের প্রাচীন সাংস্কৃতিক রীতিনীতি ফুটিয়ে তোলে। খেলা আসলে মানুষ সংস্কৃতির একটি দিক।
➤খেলার প্রভাবঃ খেলাধুলার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন- সাম্প্রদায়িকতা, সমাজের বিবর্তন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রভৃতি ক্ষেত্রে।
➤মূল্যায়নঃ খেলাধুলার ইতিহাস চর্চা মানবজাতির বিনোদনের সাথে সাথে দেশ ও জাতির সংস্কৃতি চেতনার সাক্ষ্য বহন করে।
➤ জনপ্রিয়তাঃ ১৮৭২-১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই পত্রিকা বিষয়বস্তু এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে তা বাঙ্গালীর জনমানুষের দারুণভাবে প্রভাব বিস্তার করে জানা গেছে এই মাসিক পত্রিকাটি পড়ার জন্য গ্রামে গ্রামে শোরগোল বেধে যেত।
➤ স্বাদেশিকতার প্রসারঃ এই পত্রিকা বঙ্কিমচন্দ্রের লেখনি তারা বাঙালি জাতির মনে স্বাজাত্যবোধ গ্রথিত হয়। এতে এতেই প্রকাশ আনন্দমঠ উপন্যাস ও বন্দেমাতরাম সংগীত যা সে যুগে জনমানুষকে প্রবল ভাবে আলোড়িত করে।
➤ মূল্যায়নঃ সমকালীন বাংলা ভারত জনমানুষের জাগো প্রতি গুরুত্ব অস্বীকার তাই রবীন্দ্র বঙ্কিম বঙ্গদর্শন আশিয়া বাঙালি একেবারে লুট করিয়া লইল’।
অথবা, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের’ জীবনস্মৃতি’র উপর টীকা লেখ।
উঃ সুচনাঃ আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার বিভিন্ন উয়াদানের মধ্যে একটি
অতিগুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কৃতী ও বিদগ্ধ মানুষের আত্মজীবনী। এই ধরনের একটি
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনস্মৃতি যেখানে সমকালীন
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে।
♣ ইতিহাসের উপাদান হিসেবে জীবনস্মৃতি
➤ স্মৃতিকথাঃ এই গ্রন্থ থেকে বিশ্বকবির বাল্য বয়সে শিক্ষা গ্রহণের কথা,
ওরিয়েন্টাল সেমিনারি শিক্ষাব্যবস্থা
এবং নর্মাল স্কুল ও সেখানকার স্কুলের বিশদ বিবরণে জানা যায়।
➤ ধর্মীয় সংস্কৃতিঃ আলোচিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা দেবেন্দ্রনাথ
ঠাকুরের ব্রাহ্মসমাজের ব্রাহ্মধর্মের দীক্ষাগ্রহণ সমকালীন ব্রহ্মসংগীত ও
ব্রাহ্ম ধর্মের আত্মসমালোচনার বিভিন্ন দিক।
➤ ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলঃ জীবনস্মৃতি গ্রন্থ থেকে ঐতিহ্যবাহী ঠাকুর
পরিবারের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ বিশেষ করে পরিবারের নির্দিষ্ট নিয়ম সাহিত্য কাব্য
নাটক চিত্রকলা চর্চায় এবং কিভাবে এর সূত্র ধরেই জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটেছে সে
সম্পর্কে জানা যায়।
➤ মূল্যায়নঃ উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও জীবনস্মৃতি গ্রন্থের নবগোপাল মিত্র
হিন্দু মেলা সম্পর্কে বিশদ বিবরণে জানা যায় তবে ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিবারের ইতিহাসের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
উঃ সূচনাঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা
ছিলেন সরলাদেবী চৌধুরানী। 'জীবনের ঝরাপাতা' তার আত্মজীবনীমুলক গ্রন্থ হলেও
'জীবনের ঝরাপাতা' একটি অতিমুল্যবান ঐতিহাসিক উপাদান।
♣ ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে 'জীবনের ঝরাপাতা'
➤ স্বাদেশিকতাঃ এই গ্রন্থে উল্লিখিত সরলাদেবী চৌধুরাণি স্বদেশি দ্রব্যের
উৎপাদন ও ব্যবহারের প্রচারে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' নামক এক প্রতিষ্ঠান স্থাপন
করেছিলেন নারীদের মধ্যে। স্বদেশি ভাবনার প্রসারে ১৯১১ সালে তিনি ভারতশ্রী
মহামন্ডল প্রতিষ্ঠা করেন।
➤ বৈপ্লবিক ক্রিয়াকলাপঃ এই গ্রন্থ হতে আরো জানা যায়- সরলাদেবী বাঙালি
জাতির মখ্যে বিরত্বের প্রসার ঘটানোর জন্য 'বিরাষ্টমী ব্রত' অ প্রতাপাদিত্য'
উৎসবের প্রচলন করেন।
➤ ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলঃ 'জীবনের ঝরাপাতা' গ্রন্থে ঠাকুরবাড়ির সাংস্কৃতিক
চর্চা, ঈশ্বরভাবনা, বিভিন্ন সামাজিক বিধি পালন, নারী-পুরুষের অবস্থান, অতিথি
অভ্যররথনা ভৃত্যদের কাজকর্ম প্রভৃতি সম্পর্কে জানা যায় যা বর্তমানের ইতিহাসের
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
➤ মুল্যায়নঃ উপরের আলোচনায় স্পষ্ট যে 'জীবনের ঝরাপাতা' গ্রন্থটি আধুনিক
ইতিহাসচর্চার এক অপরিহার্য দলিল। যেখানে সমকালীন ইতিহাসের বিভিন্ন দিক ও
সরলাদেবীর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও উপলব্ধির কথা উল্লেখ আছে।
উঃ সূচনাঃ আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার জন্য নানা ধরনের উপাদানের সমাবেশ
দেখা যায়। এগুলি হলো-
➤ সরকারি নথিপত্রঃ সরকারি নথিপত্রগুলি হল- (ক) নিভিন্ন রকম সরকারি প্রতিবেদন। (খ)
বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীর রিপোর্ট। (গ) বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীর ব্যক্তিগত
বিবরণ। (ঘ) বিভিন্ন কমিশনের রিপোর্টসমুহ।
➤ আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথাঃ বর্তমান ইতিহাসচর্চায় বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন সময়ে
লেখা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা অন্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- বিপিনচন্দ্র পালের
'সত্তর বৎসর' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'জীবনস্মৃতি' সরলাদেবী চৌধুরানীর ' জীবনের
ঝরাপাতা' প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
➤ চিঠিপত্রঃ ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে চিঠিপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। চিঠিপত্র
দু'ধরনের হতে পরে। (ক) সরকারি চিঠিপত্র। (খ) বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত
চিঠিপত্র।
➤ সমসাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রঃ তৎকালীন বাংলার প্রচুর সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র
ঐতিহাসিক উপাদান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- 'বেঙ্গল গেজেট' দিগদর্শন', সমাচার
দর্পন, সম্বাদ কৌমুদী, হিন্দু প্যাট্রিয়ট, কেশরী ও মারাঠী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
উঃ সূচনাঃ ইংরেজি অভিধানে সাব অলটার্ন বা নিম্নবর্গের কথা বোঝাতে
সামরিক বাহিনীর নিম্নপদস্থ অফিসারদের বোঝায়। ভারতের নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চার
প্রবর্তক রনজিত গুহ নিম্নবর্গ বলতে বুঝিয়েছেন কৃষক, শ্রমিক এবং শহুরে জনতা,
নিম্নবর্গের মহিলাদেরও। অধ্যাপক গুহ বলেছেন আধুনিক ইতিহাস চর্চায় নিম্নবর্গকেই
অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। অতএব নিম্নবর্গের ইতিহাস বলতে বোঝায় সমাজের নিচু তলার
মানুষের ইতিহাসকে।
➤ অ্যনাল গোষ্ঠীর ভূমিকাঃ ফ্রান্সের অ্যনাল পত্রিকা গোষ্ঠী নতুন সামাজিক
ইতিহাস চর্চার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মার্ক ব্লখ, লুসিয়েন
ফেবর, লাদুরি প্রমূখ সাধারণ মানুষের পরিসংখ্যান, পরিবার সমাজ, সংস্কৃতি,
অর্থনীতি প্রভৃতি ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
➤ ভারতীয় নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চাঃ ভারতীয় জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সমাজের
নিম্ন স্তরের মানুষের ইতিহাস চর্চা কে জনপ্রিয় করে তুলেছেন বেশ কিছু
ঐতিহাসিক। এদের মধ্যে রনজিত গুহ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুমিত সরকার, গৌতম
ভদ্র প্রমূখ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
➤ মার্কিন ঐতিহাসিকদের ভূমিকাঃ ঐতিহাসিক নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চা কে
প্রাধান্য দিয়ে সমাজের সাধারণের জীবনযাত্রা ক্রীতদাস প্রথা প্রভৃতি নিয়ে ইতিহাস চর্চা করেছেন। হার্রার্ট
গুটম্যান,ইউজিন জেনোবিস প্রমুখের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।
➤ মন্তব্যঃ স্বাভাবিকভাবেই চিরায়ত ইতিহাস চর্চায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
ইতিহাসের ঘরানায় এখনো নিম্নবর্গের ইতিহাস এর তেমন দাম নেই। কিন্তু
মূঢ়-মূক, ম্লান মুখগুলি এখন ইতিহাসের দরবারে হাজির। ও ইতিহাস রনজিত গুহ
বলেছে- “ ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাস মূলত উচ্চবর্গের মাহাত্ম্য,
আদর্শ-নিষ্ঠার বিবরণ। এই ইতিহাসে যদি সাধারন মানুষের প্রবেশাধিকার না থাকে
তাহলে সত্তিকারের অস্তিত্ব থাকবে না।”
No comments:
Post a Comment