প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানাদিক | Class 6 history chapter 8 question answer pdf
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানাদিক
হ্যালো বন্ধুরা,
এখানে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করা হল। এখানে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চার নানাদিক এর কিছু প্রশ্নোত্তর দেওয়া হল। আশা করি তোমাদের বেশ উপকার হবে।
উঃ- বৈদিকযুগে শিক্ষা ছিল ব্যক্তিগত। অর্থাৎ গুরু শিষ্য সম্পর্ক কেন্দ্রিক। তাকে গুরুকূল ব্যবস্থা বলা হত।
২) প্রাচীন ভারতের বিখ্যাত মহাবিহারগুলির নাম লেখ?
উঃ- নালন্দা, তক্ষশিলা, বিক্রশীলওবলভী।
৩) গান্ধার মহাজনপদের রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ- তক্ষশিলা।
৪) তক্ষশিলার কয়েকজন বিখ্যাত ছাত্রের নাম লেখ?
উঃ- জীবক, পাণিনিওচাণক্য।
৫) আচার্যা কাদের বলা হত?
উঃ- নারী আচার্যদের বলা হত আচার্যা।
৬) উপাধ্যায়া কাদের বলা হত?
উঃ- নারী উপাধ্যায়কে বলা হত উপাধ্যায়া।
৭) পাণিনির লিখিত ব্যাকরণের নাম কী ছিল?
উঃ- অষ্টাধ্যায়ী।
৮) প্রাকৃত ভাষা কী?
উঃ- একই ভাষা যখন বিভিন্ন অঞ্চলে নানাভাবে উচ্চারিত হতে শুরু হয়, তখন সেই ভাষাকে বলা হত প্রাকৃতভাষা।
৯) কোথা থেকে প্রাকৃতভাষাটি এসেছে?
উঃ- প্রকৃত বা আসল থেকে।
১০) কোন ভাষায় জৈনধর্মের সাহিত্যগুলি লেখা হত?
উঃ- প্রাকৃতভাষায়।
১১) কোন ভাষায় বৌদ্ধধর্মের সাহিত্যগুলি লেখা হত?
উঃ- পালিভাষায়।
১২) অর্থশাস্ত্র কে লেখেন?
উঃ- কৌটিল্য।
১৩) মোগলমারি বৌদ্ধ বিহার কে আবিষ্কার করেন?
উঃ- প্রত্নতাত্বিক ড. অশোকদত্ত।
১৪) পশ্চিমমেদিনীপুরের কোথায় একটি বৌদ্ধবিহার আবিষ্কৃত হয়েছে?
উঃ- দাঁতন শহরের কাছে মোগলমারিতে।
১৫) প্রাচীনভারতে ক’রকমের লিপির চলছিল?
উঃ- দুইরকমের। ১) খরোষ্ঠীলিপি ও ২) ব্রাহ্মীলিপি।
১৬) খরোষ্ঠীলিপি কীভাবে লিখা হত?
উঃ- ডানদিক থেকে বাঁমদিকে লিখা হত।
১৭) ব্রাহ্মীলিপি কোন দিক থেকে লিখা হত?
উঃ- বাঁদিক থেকে ডানদিকে।
১৮) দেবনাগরী লিপি কী?
উঃ-উত্তর ভারতে ব্রাহ্মীলিপি থেকে ধীরে ধীরে দেবনাগরী লিপি তৈরী হয় ।ধর্মীয় কাজে বা দেবতার কাজে নগরের ব্রাহ্মণরা ঐলিপির ব্যবহার করতেন।তাই তার নাম দেবনাগরী লিপি।
১৯) রামায়নে কতটি শ্লোক আছে?
উঃ- মোট চব্বিশ হাজার।
২০) রামায়ন কে রচনা করেন?
উঃ- বাল্মীকি।
২১) রামায়নের প্রধান চরিত্রগুলির নাম লেখ?
উঃ- রাম, সীতাওরাবণ।
২২) রামায়ন মহাকাব্যটি কয়টি খন্ডে বিভক্ত?
উঃ- সাতটি খন্ডে বিভক্ত।
২৩) জয়কাব্য কী?
উঃ- মহাভারতের আদি নাম ছিল জয়কাব্য।
২৪) পঞ্চমবেদ কী?
উঃ- মহাভারতকে পঞ্চমবেদ বলা হয়।
২৫) সঙ্গম কী?
উঃ- দক্ষিণ ভারতের মাদুরাই নগরিতে তিনটি সাহিত্য সম্মেলন হয়েছিল। এই সম্মেলনগুলি সঙ্গম নামে পরিচিত।
২৬) সঙ্গম কথার মানে কী?
উঃ- এক জায়গায় জড়ো হওয়া।
২৭) প্রাচীন কালের দুটি বিখ্যাত চিকিৎসা শাস্ত্রের নাম লেখ?
উঃ- চরক-সংহিতা ও শুশ্রুত-সংহিতা।
২৮) বুদ্ধচরিত কার লেখা?
উঃ- অশ্বঘোষ।
২৯) প্রাচীন সংস্কৃত সাহিতের একটি বিখ্যাত নাটকের নাম লেখ?
উঃ- মৃচ্ছকটিকম।
৩০) মৃচ্ছকটিকম নাটকটি কে রচনা করেন?
উঃ- শুদ্রক।
৩১) মৃচ্ছকটিকম কথার অর্থ কী?
উঃ- মাটির তৈরী ছোটো গাড়ি।
৩২) মৃচ্ছকটিকম নাটকটির প্রধান চরিত্রের নাম লেখ?
উঃ- চারুদত্ত।
৩৩) বিশাখাদত্তের লেখা দুটি বিখ্যাত নাটকের নাম লেখ?
উঃ- মুদ্রারাক্ষস ও দেবীচন্দ্রগুপ্তম।
৩৪) মুদ্রারাক্ষস নাটকের বিষয়বস্তু কী ছিল?
উঃ- নন্দ রাজা ধননন্দকে হারিয়ে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সিংহাসন দখলই মুদ্রারাক্ষসের বিষয়বস্তু।
৩৫) দেবীচন্দ্রগুপ্তম নাটকের বিষয়বস্তু কী ছিল?
উঃ- গুপ্তবংশের রাজা রামগুপ্ত ও চন্দ্রগুপ্তের সঙ্গে শক রাজার যুদ্ধকে নিয়ে লেখা হয় দেবীচন্দ্রগুপ্তম নাটক।
৩৬) অমর কোষ অভিধানটিকে সংকলন করেন?
উঃ- অমরসিংহ।
৩৭) হর্ষবর্ধন লিখিত নাটকগুলির নাম লেখ?
উঃ- নাগানন্দ, রত্নাবলী ও প্রিয়দর্শিকা।
৩৮) তামিল সাহিত্যের মহাকাব্য দুটির নাম লেখ?
উঃ- শিলপ্পাদিকারম ও মণিমেখলাই।
৩৯) পঞ্চতন্ত্র কোন ভাষায় সংকলিত হয়?
উঃ- সংস্কৃত ভাষায়।
৪০) প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সাহিত্যিক কে ছিলেন?
উঃ- কালিদাস।
৪১) কালিদাসের দুটি বিখ্যাত কাব্যের নাম লিখ?
উঃ- মেঘদূত ও কুমারসম্ভবম।
৪২) কালিদাস লিখিত নাটকগুলির নাম লেখ?
উঃ- অভিঞ্জানশকুন্তলম, মালবিকা-গ্নিমিত্রম।
৪৩) বিঞ্জান কথার অর্থ কী?
উঃ- কোনো বিষয়ে বিশেষভাবে ঞ্জান অর্জন করা।
৪৪) প্রযুক্তি কথার অর্থ কী?
উঃ- প্রয়োগকরা।
৪৫) বিশল্যকরণী কী?
উঃ- বিশল্যকরণী কথার মানে বিশেষরুপে শল্যকরণের পর যে ওষুধ লাগানো হয় তাকে বিশল্যকরণী বলে।
৪৬) প্রাচীন ভারতের একজন বিখ্যাত শল্য চিকিৎসকের নাম লেখ?
উঃ- শুশ্রুত।
৪৭) বিম্বিসারের রাজবৈদ্য কে ছিলেন?
উঃ- জীবক ।
৪৮) চরক কথার মানে কী?
উঃ- চরক কথার মানে যারা ঘুরে বেড়ায়।
৪৯) শুশ্রুত কথার মানে কী?
উঃ- যিনি বা যারা ভালোভাবে শুনেছিলেন।
৫০) শবব্যবচ্ছেদ কথার অর্থ কী?
উঃ- মড়াকাটা।
৫১) নাগার্জুন কে ছিলেন ?
উঃ- খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকের বিখ্যাত গণিতবিদ ও বৌদ্ধ পণ্ডিত ছিলেন।
উঃ- খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকের বিখ্যাত গণিতবিদ ও বৌদ্ধ পণ্ডিত ছিলেন।
৫২) আর্যভট্ট কে ছিলেন?
উঃ- গুপ্তযুগের বিখ্যাত গণিতঞ্জ ও জ্যোতির্বিঞ্জানী ছিলেন।
৫৩) গণিতে শূন্যের ব্যবহার আবিষ্কার করেন কে ?
উঃ- আর্যভট্ট।
৫৪) বরাহমিহির কে ছিনেন ?
উঃ- আর্যভট্টের পরবর্তীকালের বিখ্যাত জ্যোতির্বীঞ্জানী ছিলেন।
৫৫) বরাহমিহিরের লেখা দুটি বিখ্যাত পুস্তকের নাম লেখ ?
উঃ- সূর্যসিদ্ধান্ত ও পঞ্চসিদ্ধান্তিকা ।
৫৬) ব্রহ্মসিদ্ধান্ত পুস্তকটি কে লেখেন ?
উঃ- ব্রহ্মগুপ্ত।
৫৭) মধুরার ভাস্কর্যে কিসের ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায় ?
উঃ- লাল চুনাপাথরের।
৫৮) কোথাকার ভাস্কর্যে গ্রীক ও রোমান প্রভাব দেখা যায় ?
উঃ- মথুরা রীতির ভাস্কর্যে।
৫৯) তোরণ কী ?
উঃ- মৌর্য যুগে স্তূপের চারদিকে চারটি বড়ো দরজা থাকত। সেগুলিকে বলা হত তোরণ।
৬০) গুপ্তযুগের বিখ্যাত গুহাচিত্রের নাম লেখ ?
উঃ- মধ্য ভারতের অজন্তা গুহাচিত্র।
আরও পড়ুনঃ
অধ্যায় ১ঃ ইতিহাসের ধারণা | Click Here |
অধ্যায় ২ঃ ভারতীয় উপমহাদেশে আদিম মানুষ | Click Here |
অধ্যায় ৩ঃ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা | Click Here |
অধ্যায় ৪ঃ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা ২ | Click Here |
অধ্যায় ৫ঃ খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় উপমহাদেহশ | Click Here |
অধ্যায় ৬ঃ সাম্রাজ্য বিস্তার ও শাসন | Click Here |
অধ্যায় ৭ঃ অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা | Click Here |
অধ্যায় ৮ঃ প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিচর্চা | Click Here |
অধ্যায় ৯ঃ ভারত সমকালীন বহির্বিশ্ব | Click Here |
No comments:
Post a Comment