ক্লাস ৬ এর পঞ্চম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর । Class 6 chapter 5 question answer pdf
ক্লাস ৬ এর পঞ্চম অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর
১। প্রাচীন ভারতে "জন" বলতে কী বোঝানো হত ?
উঃ - প্রাচীন ভারতে গ্রামের থেকে বড়ো অঞ্চলকে জন বলা হতো।
২। প্রাচীন ভারতে কিসের উপর ভিত্তি করে রাজ্য গড়ে ওঠে ?
উঃ - প্রাচীন ভারতে জনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে রাজ্য।
৩। কোন শব্দ থেকে 'জনপদ' শব্দটি এসেছে ?
উঃ - "জন " শব্দটি থেকে।
৪। জনপদ কাকে বলে ?
উঃ - কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় মানুষ বা জনগণ পাকাপাকি ভাবে বসবাস করতে শুরু তাকে জনপদ বলা হত। অর্থাৎ জনগণ যেখানে পা বা পদ রাখেন সেটাকেই বলা হত জনপদ।
৫। ভারতীয় উপমহাদেশে "জনপদ" এর সন্ধান পাওয়া যায় কত খ্রিস্টাব্দে ?
উঃ - খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে।
৬। জনপদগুলি কিসে পরিণত হয়?
উঃ - মহাজনপদে পরিণত হয়।
৭। মহাজনপদের সংখ্যা কয়টি ?
উঃ - ১৬ টি।
৮। দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত মহাজনপদটির নাম কী ছিল ?
উঃ - অস্মক।
৯। বর্তমানে 'মগধ' কোথায় অবস্থিত ?
উঃ - বিহারের পাটনা ও গয়া জেলায়।
১০। মগধের রাজধানী কোথায় ছিল ?
উঃ - রাজগৃহে।
১১। রাজগৃহ থেকে কোথায় মগধের রাজধানী স্থানান্তরিত হয়েছিল ?
উঃ - পাটলিপুত্রে।
১২। একটি রাজতান্ত্রিক মহাজনপদের নাম লেখ ?
উঃ - মগধ।
১৩। অরাজতান্ত্রিক মহাজনপদ দুটির নাম লেখ ?
উঃ - মল্ল ও বজ্জ্বি বা বৃজি। এগুলিকে বলা হত গণরাজ্য।
১৪। মগধ মহাজনপদে কোন তিনটি রাজবংশ শাসন করেছিল ?
উঃ - হর্ষঙ্ক, শৈশুনাগ, ও নন্দ রাজবংশ।
১৫। বজ্জিদের রাজধানীস কোথায় ছিল ?
উঃ - বৈশালী।
১৬। লিচ্ছবি কাদের বলা হত ?
উঃ - বৈশালীর আশেপাশে যে সব বজ্জি বাস করত তাদের বলা হত লিচ্ছবি।
১৭। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের দুটি প্রধান ধর্মের নাম লেখ ?
উঃ - বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম।
১৮। জৈনধর্মের প্র্রধান ধর্মপ্রচারকদের কী বলা হত ?
উঃ - তীর্থঙ্কর বলা হত।
১৯। জৈনধর্মে মোট কতজন তীর্থঙ্কর ছিলেন ?
উঃ - চব্বিশ জন।
২০। জৈনধর্মের দুজন তীর্থঙ্করের নাম লেখ ?
উঃ - পার্শ্বনাথ ও বর্ধমান মহাবীর।
২১। পার্শ্বনাথ কে ছিলেন ?
উঃ - পার্শ্বনাথ ছিলেন কাশীর রাজপুত্র।
২২। বর্ধমান মহাবীর কে ছিলেন ?
উঃ - লিচ্ছবি বংশের ক্ষত্রিয় রাজকুমার ছিলেন বর্ধমান মহাবীর।
২৩। কত বছর মহাবীর জৈনধর্ম প্রচার করেন ?
উঃ - দীর্ঘ্য তিরিশ বছর।
২৪। কত বছর বয়সে মহাবীর মারা যান ?
উঃ - আনুমানিক বাহাত্তর বছর বয়সে।
২৫। মহাবীর কোথায় মৃত্যু বরণ করেন ?
উঃ - পাবা নগরীতে।
২৬। জৈনধর্মের মূলনীতি কয়টি ?
উঃ - চারটি।
২৭। জৈনধর্মের মূল চারটি নীতি কি কি ?
উঃ - ১) কোনো প্রাণী হত্যা না করা। ২) মিথ্যাকথা না বলা। ৩) অন্যের জিনিস ছিনিয়ে না নেওয়া। ৪) নিজের জন্য কোনো সম্পত্তি না করা।
২৮। চতুর্যামব্রত কী ?
উঃ - পার্শ্বনাথ জৈনধর্মের যে চারটি নীতি জৈনধর্মাবলম্বীদের মেনে চলার নির্দেশ দেন সেটিকে চতুর্যামব্রত বলে।
২৯। পঞ্চমহাব্রত কী ?
উঃ - মহাবীর জৈনধর্মের চারটি নীতির সঙ্গে ব্রহ্মচর্য নীতি জৈনদের মেনে চলার নির্দেশ দেন। এই পাঁচটি নীতিকে একসঙ্গে পঞ্চমহাব্রত বলা হয়।
৩০। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে কোন ধর্ম গ্রহণ করেন ?
উঃ - জৈনধর্ম গ্রহণ করেন।
৩১। দ্বাদশ অঙ্গ কী ?
উঃ - জৈন ধর্মের মূল উপদেশগুলি বারোটি ভাগে সাজানো হয়েছিল। এই ভাগগুলিকে অঙ্গ বলা হত। সংখ্যায় বারোটি ছিল বলে অঙ্গগুলিকে একসঙ্গে বলা হত দ্বাদশ অঙ্গ।
৩২। দাক্ষিণাত্য জৈন সন্ন্যাসীদের নেতা কে ছিলেন ?উঃ - ভদ্রবাহু।
৩৩। উত্তর ভারতে জৈনদের নেতা কে ছিলেন ?
উঃ - স্থলভদ্র।
৩৪। দিগম্বর কাদের বলা হত ?
উঃ - জৈনধর্মের বস্ত্রহীন সন্ন্যাসীদের বলা হত দিগম্বর।
৩৫। শ্বেতাম্বর কাদের বলা হত ?
উঃ - জৈনধর্মে শ্বেত বা সাদা বস্ত্র পরিধানকারী সন্যাসীদের বলা হত শ্বেতাম্বর ।
৩৬। গৌতম বুদ্ধের বাল্য নাম কী ছিল ?
উঃ - সিদ্ধান্ত।
৩৭। গৌতমবুদ্ধ কোথায় জন্ম গ্রহণ করেন ?
উঃ - নেপালের তরাই অঞ্চলে।
৩৮। গৌতম বুদ্ধ কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন ?
উঃ - শাক্য বংশে।
৩৯। কত বছর বয়সে গৌস্তম্বুদ্ধ সন্ন্যাস গ্রহণ করেন ?
উঃ - ঊনত্রিশ বছর বয়সে।
৪০। বোধি কথার অর্থ কী ?
উঃ - জ্ঞান।
৪১। গৌতমবুদ্ধ কত বছর তপস্যার করে বোধি অর্জুন করেছিল ?
উঃ - প্রায় ছয় বছর।
৪২। গৌতমবুদ্ধের প্রচারিত ধর্মের নাম কী ?
উঃ - বৌদ্ধধর্ম।
৪৩। বোধিবৃক্ষ কী ?
উঃ - সিদ্ধার্থ গোয়ার কাছাকাছি একটি পিপল গাছের নিচে বসে তপস্যা করেছিলেন। সেখানেই তার বোধি বা জ্ঞান লাভ হয় বলে ওই গাছটিকে বোধিবৃক্ষ বলে।
৪৪। ধর্মচক্র প্রবর্তন কী ?
উঃ - গৌতম বুদ্ধ বোধি বা জ্ঞান লেভার পর গোয়া থেকে বারাণসীর কাছে সারনাথে যান। সেখানে তিনি পাঁচজন সঙ্গীর মধ্যে তার উপদেশাবলী প্রচার করেন। তাদের কাছে তিনি মানুষের জীবনে দুঃখের কারনসমুহ ব্যাখ্যা করেন। পরবর্তীকালে এটি ধর্মচক্র নাম পরিচিত হয় ।
৪৫। আর্যসত্য কী ?
উঃ - গৌতম বুদ্ধ তার শিষ্যদের কাছে দুঃখের কারণ কী ? কিভাবে সেই দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ? এই প্রশ্নগুলির ব্যাখ্যায় চারটি মূল উপদেশ দেন। প্রতিটি পুডেস্কে বলা হয় আর্যসত্য। এই চারটি উপদেশকে একসঙ্গে চতুরার্যসত্য বলা হয়।
৪৬। মার্গ কথার অর্থ কী ?
উঃ - মার্গ কথার অর্থ পথ।
৪৭। অষ্টাঙ্গিক মার্গ কী ?
উঃ - গৌতম বুদ্ধ তার অনুগামীদের দুঃখ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আটটি পথ বা উপায় মেনে চলার উপদেশ দেন। এটি সংখ্যায় আটটি ছিল বলে এটিকে বলে অষ্টাঙ্গিক মার্গ।
৪৮। গৌতম বুদ্ধ কোথায় মারা যান ?
উঃ - ৪৫ বছর বয়সে কুশীনগরে মারা যান (আনুমানিক ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্ব )
৪৯। কোথায় প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি কার শাসনকালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উঃ - অজাতশত্রুর শাসনকালে 'রাজগৃহে '
৫০। প্রথম বৌদ্ধ সংগীতির সভাপতি কে ছিলেন ?
উঃ - মহাকাশ্যপ।
৫১। প্রথম বৌদ্ধসংগীতির গুরুত্যপূর্ণ ঘটনা কী ছিল ?
উঃ - সুত্ত ও বিনয় পিটক সংকলন করা হয়।
৫২। দ্বিতীয় বৌদ্ধসংগীতি কোথায় অনুষ্ঠিত হয় ?
উঃ - বৈশালিতে।
৫৩। কার শাসনকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধসংগীতি অনুষ্ঠিত হয় ?
উঃ - কালাশোক বা কাকবর্ণের শাসনকালে।
৫৪। দ্বিতীয় বৌধিসংগীতির গুরুত্ব কি ছিল ?
উঃ - বৌদ্ধরা থেরবাদী ও মহাসাংঘিক - এই দুই দোলে বিভক্ত হয়।
৫৫। দ্বিতীয় বৌদ্ধসংগীতির সভাপতি কে ছিলেন ?
উঃ - যশ সভাপতি ছিলেন।
৫৬। তৃতীয় বৌদ্ধসংগীতি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উঃ - পাটলিপুত্রে সম্রাট অশোক এর শাসনকালে।
৫৭। তৃতীয় বৌধিসংগীতির সভাপতি কে ছিলেন ?
উঃ - মোগলিপুত্ত তিসস।
৫৮। চতুর্থ বৌদ্ধসংগীতি কোথায় অনুষ্ঠিত হয় ?
উঃ - কাশ্মীরে।
৫৯। চতুর্থ বৌদ্ধসংগীতির সভাপতি কে ছিলেন ?
উঃ - বসুমিত্র।
৬০। কার শাসনকালে চতুর্থ বৌদ্ধসংগীতি অনুষ্ঠিত হয় ?
উঃ - সম্রাট কণিষ্কের শাসনকালে।
৬১। চতুর্থ বৌদ্ধসংগীতির গুরুত্ব কী ছিল ?
উঃ - বৌদ্ধরা হীনযান ও মহাযান এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।
৬২। মহাযান করা ?
উঃ - জীবনযাপন ও ধর্মীয় আচরণের মতবিরোধের ফলে বৌধসংঘ দুটি দোলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। যে সমস্ত বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা সংঘের নিয়মনীতি শিথিল করে পারিবারিক জীবনযাপন শুরু করে,দামি, ভালো পোশাক পরিধান করে, আমিষ খাবার খাই এবং সোনা ও রূপাকে দেন হিসাবে গ্রহণ করে তাদের মহাযান বলে।
৬৩। হীনযান করা ?
উঃ - পুরোনো বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা গৌতম বুদ্ধের নিয়মেই জীবনযাপন করতে থাকে ও তার নির্দেশিত পথেই চলতে থাকে এদের হীনযান বলে।
৬৪। বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
উঃ - ত্রিপিটক।
৬৫। ত্রিপিটকের কয়টি খন্ড ও কী কী ?
উঃ - তিনটি খন্ড। যথা - সুপ্তপিটক, বিষয়পিটক, অভিধম্মপিটক।
৬৬। পিটক কথার অর্থ কী ?
উঃ - ঝুড়ি।
৬৭। পিটক কোন ভাষায় লিখিত ?
উঃ - পালি ভাষায়।
৬৮। জৈনধর্মে ত্রিরত্ন কী ?
উঃ - জৈনধর্মে ত্রিরত্ন বলতে সৎ বিশ্বাস, সৎ জ্ঞান, সৎ আচরণ এই তিনটিকে একত্রে ত্রিরত্ন বলা হয় ।
৬৯। বৌদ্ধধর্মে ত্রিরত্ন কী ?
উঃ - গৌতমবুদ্ধ ই প্রধান ব্যক্তি, তার প্রচার করা ধর্মই বৌদ্ধধর্ম, বৌদ্ধধর্ম প্রচারের দায়িত্ব বৌদ্ধ সংঘের। বৌদ্ধধর্মে এই তিনটিকে একত্রে বলে ত্রিরত্ন।
৭০। বির্বাণ কথার অর্থ কী ?
উঃ - মুক্তি।
৭১। মঝ্ঝিম পতিপদা কথার অর্থ কি ?
উঃ - মধ্যপন্থা।
No comments:
Post a Comment