Solutions Class 10 Geography Chapter 1 - Glacier erosion are important questions to prepare for WBBSE Madhyamik Exams. By going through these questions, students will get to know the answer writing style.
Which will help them in caring more marks in the exam. They will also understand
how to express their answers by covering all the important details. Thank You,
হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
১। হিমবাহ কাকে বলে?
উঃ মেরু অঞ্চলে ও সুউচ্চ পার্বত্যাঞ্চলে হিম্রেখার ঊর্ধ্বে সারাবছর তুষার সঞ্চের ফল্ব এক বৃহৎ দৃঢ় সংবদ্ধ তুষার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। মাধ্যাকর্ষন শক্তি ও উপরিস্থিত চাপের প্রভাবে তা অত্যন্ত ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামতে থাকে। এরূপ গতিশীল বৃহৎ বরফের স্তূপকে হিমবাহ বলা হয়।
২। ভারতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হিমবাহের নাম লেখ?
উঃ গঙ্গোত্রী, মিলাম, সিয়াচেন, হিস্পার, গ্রেট বলটারো, কাংশুক প্রভৃতি।
৩। নেভে কী?
উঃ ক্রমবর্ধমান চাপ ও ঊর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট তুষারকে নেভে বলে।
৪। পৃথিবীর দ্রুততম হিমবাহের নাম লেখ?
উঃ গ্রিনল্যান্ডের কোয়ারেক। (গড় গতিবেগ দিনে ২০-২৫ মিঃ)।
৫। পৃথিবীর বৃহত্তম সুপেয় জলের উৎস কোনটি?
উঃ হিমবাহ।
৬। হিমরেখা কী?
উঃ ভূপৃষ্ঠের যে উচ্চতায় সারাবছর তুষার জমে থাকে অথবাযার নীচে তুষার গলে জলে পরিণত হয় সেই সিমারেখাকেই ‘হিমরেখা’ বলে। অথবা স্থায়ী বরফাবৃত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রান্তসীমাকে হিমরেখা বলে।
৭। অস্থায়ী ও স্থায়ী হিমরেখা কাকে বলে?
উঃ ঋতুভেদে হিম্রেখার উচ্চতার পার্থক্য হয়। শীতকালে বাতাসের উষ্ণতা কমে যায় বলে হিম্রেখা কিছুটা নীচের দিকে নেমে আসে। একে অস্থায়ী হিমরেখা বলে। আবার ভূপৃষ্ঠের যে উচ্চতার ওপর বরফ কখনো গলে না তাকে স্থায়ী হিমরেখা বলে।
৮। অবস্থানের ভিত্তিতে হিমবাহকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
উঃ অবস্থানের ভিত্তিতে অ্যালম্যন ১৯৪৮ সালে হিমবাহকে প্রধান তিনটি ভাগে ভাগ করেন। যথা- (ক) মহাদেশীয় হিমবাহ, (খ) পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ এবং (গ) পাদদেশীয় হিমবাহ।
৯। মহাদেশীয় হিমবাহ কাকে বলে?
উঃ উচ্চ অক্ষাংশে মহাদেশব্যাপী বিশালাকার বরফের স্তূপকে মহাদেশীয় হিমবাহ বলে।
১০। পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম লেখ?
উঃ আন্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট ।
১১। পার্বত্য হিমবাহ বা উপত্যকা হিমবাহ কাকে বলে?
উঃ উঁচু পর্বত বা উপত্যকায় দীর্ঘ কাল ধরে তুষার জমে বরফে পরিণত হলে এবং তা অভিকর্ষজ টানে নেমে এলে তাকে পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ বলে। এটি আল্পীয় হিমবাহ নামেও পরিচিত।
১২। পৃথিবীর বৃহত্তম উপত্যকা হিমবাহের নাম লেখ?
উঃ আলাস্কার হুবার্ড হিমবাহ।
১৩। ভারতের একটি উপত্যকা হিমবাহের নাম লেখ?
উঃ কারাকোরাম পার্বতের বল্টারো, হিসপার,সিয়াচেন।
১৪। ভারতের বৃহত্তম পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের নাম লেখ?
উঃ সিয়াচেন হিমবাহ।
১৫। পাদদেশীয় হিমবাহ কাকে বলে?
উঃ পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ অবস্থান করলে তাকে পাদদেশীয় হিমবাহ বলে।
১৬। একটি পাদদেশীয় হিমবাহের নাম লেখ?
উঃ আলাস্কার মালাসপিনা ।
আরও পড়ুনঃ নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
১৭। হিমশৈল কী?
উঃ মহাদেশীয় হিমবাহ বিস্তৃত হয়ে সমুদ্রের নিকট চলে এলে সমুদ্রের স্রোত ও তরঙ্গের ধাক্কায় হিমবাহের প্রান্তভাগ ভেঙে গিয়ে জলে ভাসতে থাকে। সমুদ্রজলে ভাসমান বরফের স্তূপকে হিমশৈল বলে।
১৮। বার্গস্রুন্ড কাকে বলে?
উঃ উঁচু পর্বত থেকে উপত্যকার মধ্য দিয়ে হিমাওবাহ নামার সময় হিমবাহ ও পর্বতগাত্রের মধ্যে যে সংকীর্ণ ফাঁক সৃষ্টি হয়, তাকে বার্গস্রুন্ড বলা হয়।
১৯। ক্রেভাস কী?
উঃ ক্রেভাস হল হিমবাহের উপর সমান্ত্রাল ও আড়াআড়ি ফাটল।
২০। হিমবাহ কোন কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষয় সাধন করে?
উঃ হিমবাহ উৎপাটন ও অবঘর্ষ এই দুই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষয় সাধন করে।
২১। প্লাকিং বা উৎপাটন কী?
উঃ পর্বতগাত্র ও উপত্যকায় ঘর্ষণের ফলে হিমবাহের কিছু অংশ গলে জলে পরিণত হয়। ঐ জল পর্বতের গায়ে ফাটলের মধ্যে প্রবেশ করে পুরায় তা জমে বরফে পরিণত হয়।ফলে আয়তন বৃদ্ধি পেলে জমে যাওয়া বরফ পর্বতগাত্রে প্রবল চাপ দেওয়ায় শিলাখন্দ আলগা হয়ে পড়ে এবং হিমবাহের চাপে তা উৎপাটিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে উৎপাটন বা প্লাকিং বলে।
২২। কোথায় উৎপাটন প্রক্রিয়ার নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়?
উঃ ক্যালিফোর্নিয়ার যোসেমিত উপত্যকার গ্রানাইট শিলায়।
২৩। অবঘর্ষ প্রক্রিয়া কাকে বলে?
উঃ হিমবাহের মধ্যে উৎপাটিত শিলাখন্ড আবধ হয়। হিমবাহ চলতে শুরু করলে জমাটবদ্ধ শিলাখন্ডের ঘর্ষণ ক্ষয় হয়। একে অবঘর্ষন বলে।
২৪। সার্ক বা করি কী?
উঃ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ চলার পথে উৎপাটন ও অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় হাতল যুক্ত ডেক চেয়ার বা অ্যাম্পিথিয়েটারের মতো ভূমিরূপ গঠন করে। এই ধরণের ভূমিরূপকে ইংল্যান্ডে করি এবং ফ্রান্সে সার্ক বলে।
২৫। প্রতিটি সার্কের কয়টি অংশ থাকে?
উঃ তিনটি অংশ থাকে। (ক) মাথার দিকের খাড়া প্রাচীর, (খ) উঁচু প্রান্ত ভাগ বা বেসিনের কানা এবং (গ) সার্কের বিপরীত মুখী ঢালযুক্ত বেসিন।
২৬। করি হ্রদ কাকে বলে?
উঃ করি বা সার্ক থেকে হিমবাহ সরে গেলে এর বেসিনে অবশিষ্ট বরফ গলে গিয়ে যে হ্রদ সৃষ্টি হয় তাকে করি হ্রদ বলে।
২৭। সার্ক সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশগুলি কী কী?
উঃ (ক) পূর্ববর্তী নদী উপত্যকার উপস্থিতি, (খ) প্রচুর তুষারপাত ও (গ) সমজাতীয় শিলার উপস্থিতি।
২৮। পৃথিবীর বৃহত্তম সার্ক এর নাম লেখ?
উঃ অ্যান্টার্কটিকার ওয়ালকট সার্ক।
২৯। এরিটি বা আরেৎ কী?
উঃ দুটি সার্ক পাশাপাশি অবস্থান করলে, এদের মধ্যবর্তী উঁচু খাড়া অংশটিকে হিমশিরা বা এরিটি বা আরেৎ বলে।
৩০। কর্তিত শৈলশিরা কাকে বলে?
উঃ হিমবাহ নদীর মত সম্মুখের বাধা এড়িয়ে বক্র পথে প্রবাহিত হতে পারে না। হিমবাহের কঠিন বরফ ভূমির ঢাল বেয়ে বিশাল তুষারের চাপে ও অভিক্ররষজ টানে সরল্পথেই তা সামনের দিকে এগিয়ে চলে । হিমবাহ প্রবাহপথের দু পাশে অবস্থিত স্পার বা অভিক্ষিপ্তাংশকে উল্লম্বভাবে কেটে সামনের দিকে এগিয়ে চলে , একে কঋত শৈলশিরা বলে
৩১। পিরামিড চূড়া বা হর্ন কী?
উঃ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে কয়েকটি এইটি একে অপরের বিপরীতমুখে অবস্থান করলে এদের মধ্যবর্তী পর্বতচূড়াটি পিরামিডের মত অবস্থান করে। একে পিরামিড চূড়া বা হর্ণ বলে।
৩২। পিরামিড চূড়াকে হর্ণ বলা হয় কেন?
উঃ সুইজারল্যান্ডের আল্পসের ম্যাটার হর্ণের নাম অনুসারেই পিরামিড চূড়াকে ‘হর্ণ’ বলা হয়
৩৩। হিমদ্রোণী কাকে বলে?
উঃ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে উল্লম্ব খাড়া পাড়যুক্ত উন্মুক্ত ও বিস্তীর্ণ মসৃণ অবতল আকৃতির উপত্যকা গঠিত হয়। এটি ‘U’ আকৃতির দেখতে হয় বলে, একে ‘U’ আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী বলে।
৩৪। হিমসোপান কাকে বলে?
উঃ হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে হিমদ্রোণীতে সিঁড়ি বা ধাপের সৃষ্টি হয়। একে হিমসিঁড়ি বা হিমসোপান বলে।
আরও পড়ুনঃ নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
৩৫। প্যাটারনস্টার হ্রদ কাকে বলে?
উঃ হিমসিঁড়িতে বরফ গলা জল জমে গ্রদ সৃষ্টি হলে তাকে প্যাটারনস্টার হ্রদ বলে।
৩৬। হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি ‘U’ এর মতো হয় কেন?
উঃ পূর্বের নদী গঠিত ‘V’ আকৃতির উপত্যকার মধ্য দিয়ে হিমবাহ অগ্রসর হওয়ার সময়ে হিমবাহ উপত্যকা ‘U’ এর ন্যায় আকৃতি গ্রহণ করে। কারণ- (১) হিমবাহের ধীর প্রবাহ, (২) বরফের চাপ, (৩) অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষয়, (৪) তলদেশ ক্ষয় ও পার্শ্ব ক্ষয়ের সমতা
৩৭। ঝুলন্ত উপত্যকা কাকে বলে?
উঃ পার্বত্য উপত্যকায় অনেক সময় ছোটো ছোটো হিমবাহ পরধান হিমবাহের সাথে মিলিত হয়। প্রধান হিমবাহের আয়হতন ও গভীরতা অধিক হওয়ায় এর দ্বারা সৃষ্ট উপত্যকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপ-হিমবাহ সৃষ্ট উপত্যকা অপেক্ষা বেশি গভীর হয়। এরূপ অবস্থায় ক্ষুদ্রাকৃতির উপ্ত্যকাগুলি মনে হয় যেন প্রধান হিমবাহ উপত্যকার ওপর ঝুলছে। একে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে।
৩৮। রসেমতানে কী?
উঃ হিমবাহের প্রবাহপথে কোনো কথিন শিলায় গঠিত উচ্চভূমি অবস্থান করলে হিমবাহের পিছনের দিকের ঢালটি অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় মসৃণ ও মৃদু ঢালযুক্ত হয়। এর বিপরীত ঢালটি উৎপাটনের ফলে অমসৃণ ও ফাটলযুক্ত হয়। পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে শক্ত শিলাখন্ডে গঠিত একদিকে মসৃণ ও অপরদিকে অমসৃণ এঁবড়োখেঁবড়ো শিলাখন্ড বা ঢিবিকে রসেমতানে বলা হয়।
৩৯। টেল ও ক্র্যাগ কাকে বলে?
উঃ পার্বত্য হিমবাহের প্রবাহপথের সম্মুখে বৃহৎ ও উঁচু কঠিন শিলা অবস্থান করেলে তা হিমবাহের ক্ষয়কার্যের হাত থেকে টিলার পিছনের নরম শিলাকে রক্ষা করে। ঐ নরম শিলা কঠিন শিলায় গঠিত ঢিবির পিছনে লম্বা লেজের মতো অবস্থান করে। একে পুচ্ছ বা টেল বলে। আর ওই এবড়োখেবড়ো টিলাকে ক্র্যাগ বলে।
৪০। ফিয়োর্ড কী?
উঃ উচ্চ অকশাংশের সমুদ্র উপকূলে হিমদ্রোণী যদি সমুদ্রতলের থেকেও গভীর হয়, তবে তা সমুদ্র জলে নিমজ্জিত অবস্থায় অবস্থান করে। আংশিক নিমজ্জিত এ জাতীয় হিমবাহ উপত্যকা ফিয়োর্ড নামে পরিচিত।
৪১। ফিয়ার্ড কী?
উঃ ফিয়োর্ডগুলি সরলরৈখিক, সুগভীর ও বিস্তৃত তলদেশ যুক্ত সমুদ্রের দিকে প্রসারিত খাড়া পর্বত দিয়ে ঘেরা ছোট ফিয়োর্ডকে ফিয়ার্ড বলে।
আরও পড়ুনঃ
Class 10 Geography Chapter 1- নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ | Click Here |
Class 10 Geography Chapter 1- নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ | Click Here |
No comments:
Post a Comment